ঢাকা ০৬:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রংপুরের ৬টি আসন থেকে স্বতন্ত্রসহ ৪৯ জন প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল বেরোবিতে শিক্ষাবৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে চেক হস্তান্তর রংপুরে বিএনপি কার্যালয় থেকে পেট্রোল বোমা উদ্ধার গ্রেফতার-১৭ আমি সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের কর্মী বদরগঞ্জে সরকারি সুবিধাভোগীদের সাথে মতবিনিময় সভায় ডিউক এমপি দীর্ঘ ১১বছর পর কমিটির অনুমোদনে রংপুর জেলা যুবলীগের আনন্দ শোভাযাত্রা। রংপুরে পৃথক অভিযানে দুই শীর্ষ সন্ত্রাসীর গ্রুপের ২ জন ভারি অস্ত্রসহ গ্রেফতার রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান সুযোগ পেলেই জামায়াত স্বমূর্তিতে আবির্ভূত হবে : মোজাম্মেল হক সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে আলু আমদানির সুপারিশ করা হবে-রংপুরে ভোক্তা ডিজি

সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে আলু আমদানির সুপারিশ করা হবে-রংপুরে ভোক্তা ডিজি

বাবলুর রহমান বারী
  • আপডেট সময় : ০৭:১৮:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৫০ বার পড়া হয়েছে

আগামী ৩/৪ দিনের মধ্যে সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে ডিমের মতো আলুও আমদানির সুপারিশ করা হবে বলে জানিযেছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে রংপুর নগরীর উত্তম হাজীরহাট এলাকায় আরমান কোল্ডস্টোরেজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
সফিকুজ্জামান বলেন, আমরা কোল্ড স্টোরেজে আলুর দর ২৭ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছি। এরপরও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও কোল্ড স্টোরেজের কর্মকর্তারা সিন্ডিকেট মাধ্যমে আলুর বাজার অস্থির করে তুলেছেন। আমরা এসব সিন্ডকেট ভাঙার চেষ্টা করছি। আরও ৩ থেকে ৪ দিন দেখবো। এরমধ্যে সিন্ডিকেঠ ভাঙতে না পারলে ডিমের মতো আলুও আমদানির জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করা হবে।
আরমান কোল্ডস্টোরেজ প্রসঙ্গে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষনের ডিজি সফিকুজ্জামান বলেন, এখানে রাসেল নামে এক ব্যক্তি নিজের উৎপাদিত আড়াই হাজার বস্তা আলু ও স্থানীয় কৃষকদের সাড়ে বারো হাজার বস্তাসহ মোট ১৫ হাজার বস্তা আলু নিজের নামে এসব আলু মজুত করেছেন। এভাবে অন্যের আলু নিজের নামে রেখে সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন রাসেল।
এছাড়া কোল্ডস্টোরেজ কর্তৃপক্ষ ব্যাংক থেকে চার কোটির বেশি টাকা লোন নিয়ে কৃষকদের দিয়েছেন। কী উদ্দেশ্যে ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে কৃষকদের দিয়েছেন তা খতিয়ে দেখতে অসাধু আলু ব্যবসায়ী রাসেল ও কোল্ড স্টোরেজের জিএম রেজাউল করিম লেবুর সিন্ডিকেট বিষয়ে অধিকতর তদন্তে জন্য তাদেরকে দুইকে আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তরের প্রতিনিধি।
সফিকুজ্জামান বলেন, আরমান কোল্ডস্টোরেজে এখনো পর্যাপ্ত আলু মজুত রয়েছে। আলু বের করার সময় আর দেড় থেকে দুই মাস। এসময়ের মধ্যে আলু বের না করা হলে আলু পচে যাবে। এরপরও সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা আলু বের না করে মজুতের দিকে ঝুঁকছেন বেশি দামের আশায়। এসময় তিনি কোল্ড স্টোরেজ থেকে ২৭ টাকা কেজি দরে আলু কিনতে বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানান।
অভিযান চলাকালে উপস্থিত ছিলেন রংপুর জেলা প্রশাসক মোবাশ্বের হাসান, জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) তরিকুল ইসলামসহ ভোক্তা ও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা। পরে দুপুরে রংপুর জেলা প্রশাসন হল রুমে আলুর দাম নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে আলু ব্যবসায়ী, হিমাগার মালিক সমিতি ও অংশীজনদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামান, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পরিচালক স্থানীয় সরকার রংপুর বিভাগ,রংপুর ফজলুল কবির,পুলিশের ডিসি হেড কোয়াটার আবু সিদ্দিকসহ অনেকে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক রংপুর মোহাম্মদ মোবাশে^ও হাসান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে আলু আমদানির সুপারিশ করা হবে-রংপুরে ভোক্তা ডিজি

আপডেট সময় : ০৭:১৮:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আগামী ৩/৪ দিনের মধ্যে সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে ডিমের মতো আলুও আমদানির সুপারিশ করা হবে বলে জানিযেছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে রংপুর নগরীর উত্তম হাজীরহাট এলাকায় আরমান কোল্ডস্টোরেজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
সফিকুজ্জামান বলেন, আমরা কোল্ড স্টোরেজে আলুর দর ২৭ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছি। এরপরও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও কোল্ড স্টোরেজের কর্মকর্তারা সিন্ডিকেট মাধ্যমে আলুর বাজার অস্থির করে তুলেছেন। আমরা এসব সিন্ডকেট ভাঙার চেষ্টা করছি। আরও ৩ থেকে ৪ দিন দেখবো। এরমধ্যে সিন্ডিকেঠ ভাঙতে না পারলে ডিমের মতো আলুও আমদানির জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করা হবে।
আরমান কোল্ডস্টোরেজ প্রসঙ্গে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষনের ডিজি সফিকুজ্জামান বলেন, এখানে রাসেল নামে এক ব্যক্তি নিজের উৎপাদিত আড়াই হাজার বস্তা আলু ও স্থানীয় কৃষকদের সাড়ে বারো হাজার বস্তাসহ মোট ১৫ হাজার বস্তা আলু নিজের নামে এসব আলু মজুত করেছেন। এভাবে অন্যের আলু নিজের নামে রেখে সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন রাসেল।
এছাড়া কোল্ডস্টোরেজ কর্তৃপক্ষ ব্যাংক থেকে চার কোটির বেশি টাকা লোন নিয়ে কৃষকদের দিয়েছেন। কী উদ্দেশ্যে ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে কৃষকদের দিয়েছেন তা খতিয়ে দেখতে অসাধু আলু ব্যবসায়ী রাসেল ও কোল্ড স্টোরেজের জিএম রেজাউল করিম লেবুর সিন্ডিকেট বিষয়ে অধিকতর তদন্তে জন্য তাদেরকে দুইকে আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তরের প্রতিনিধি।
সফিকুজ্জামান বলেন, আরমান কোল্ডস্টোরেজে এখনো পর্যাপ্ত আলু মজুত রয়েছে। আলু বের করার সময় আর দেড় থেকে দুই মাস। এসময়ের মধ্যে আলু বের না করা হলে আলু পচে যাবে। এরপরও সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা আলু বের না করে মজুতের দিকে ঝুঁকছেন বেশি দামের আশায়। এসময় তিনি কোল্ড স্টোরেজ থেকে ২৭ টাকা কেজি দরে আলু কিনতে বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানান।
অভিযান চলাকালে উপস্থিত ছিলেন রংপুর জেলা প্রশাসক মোবাশ্বের হাসান, জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) তরিকুল ইসলামসহ ভোক্তা ও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা। পরে দুপুরে রংপুর জেলা প্রশাসন হল রুমে আলুর দাম নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে আলু ব্যবসায়ী, হিমাগার মালিক সমিতি ও অংশীজনদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামান, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পরিচালক স্থানীয় সরকার রংপুর বিভাগ,রংপুর ফজলুল কবির,পুলিশের ডিসি হেড কোয়াটার আবু সিদ্দিকসহ অনেকে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক রংপুর মোহাম্মদ মোবাশে^ও হাসান।