র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধের উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার, আইন-শৃঙ্খলার সামগ্রিক
উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাব ফোর্সেস
নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে থাকে। জঙ্গি, মাদক, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, সাজাপ্রাপ্ত আসামী ও বিভিন্ন অপরাধীকে
গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-১১ নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী ও র্যাব-১৩ ব্যাটালিয়ন সদর এর যৌথ আভিযানিক দল
তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ১২ আগস্ট ২০২৩ ইং তারিখ রাতে রংপুর জেলার পীরগঞ্জ থানাধীন পাওটানা হাট এলাকায় অভিযান
পরিচালনা করে ল²ীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি মামুনুর রশিদ হত্যা মামলার
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী নেহাল (৪০) কে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত আসামী নেহাল (৪০) নোয়াখালী জেলার চাটখিল থানাধীন পশ্চিম
দেলিয়াই গ্রামের মাওলানা অলি উল্যাহ এর ছেলে। অত্র মামলার ভিকটিম মৃত মামুনুর রশিদ ল²ীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ
থানাধীন চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। রাজনৈতিক কারণে ভিকটিমের সাথে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের দ্বন্দের
সৃষ্টি হয়। ঘটনার তারিখ গত ১৮ মে ২০১৫ ইং তারিখ ভিকটিম মামুনুর রশিদ নোয়াখালী চাটখিল থানাধীন দেলিয়ার বাজার
হতে বাড়ি আসার পথে চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্ব আমানিয়া গ্রামে পৌঁছলে আসামী নেহাল (৪০) ও মামলার অপরাপর
আসামীগন পরিকল্পিতভাবে ভিকটিমকে গুলি করে হত্যা করে। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের ভাই মোঃ ফখরুল ইসলাম
আসামীদের বিরুদ্ধে চন্দ্রগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে আসামী নেহাল
(৪০) এর বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ এর রায় ঘোষণা করেন। র্যাব-১১, সিপিসি-৩ এর আভিযানিক দল যাবজ্জীবন
সাজাপ্রাপ্ত আসামী নেহাল (৪০) কে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা কার্যক্রম আরম্ভ করে। পরবর্তীতে র্যাব-১১, সিপিসি-৩ ও
র্যাব-১৩, ব্যাটালিয়ন সদর এর যৌথ আভিযানিক দল ১২/০৮/২০২৩ ইং তারিখ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় বিশেষ অভিযান
পরিচালনা করে উক্ত সাজাপ্রাপ্ত আসামী নেহাল (৪০) কে গ্র্রেফতার করতে সক্ষম হয়। আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা
গ্রহণের জন্য নোয়াখালী জেলার চাটখিল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।