রংপুর বিভাগে ১২৫৪ ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত। ২৪ ঘন্টায় ৮৭ জন রোগী ভর্তি

- আপডেট সময় : ০২:৫২:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অগাস্ট ২০২৩ ৫৫ বার পড়া হয়েছে

বাবলুর রহমান বারী
রংপুর বিভাগে ডেঙ্গুর রোগীর আক্রান্তের সংখ্যা দাড়িয়েছে ১২৫৪ জনে গত ২৪ ঘন্টায় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮৭ জন। রংপুরসহ বিভিন্ন হাসপাতালে দিন দিন বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাবর্তমানে হাসগাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৯৫ জন। সুস্থ হয়েছেন ১০৫৮ জন। গত ২৪ ঘন্টায় (সোমবার) আরও ১৪ রোগী ভর্তিসহ রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক ) হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে ৪২ জন। এখন পর্যন্ত এই সংখ্যা দাড়িয়েছে ২৮৭ জনে । এসব রোগী রমেক হাসপাতালের ৫ টি ওয়ার্ডে চলছে ডেঙ্গুর চিকিৎসা। আলাদা কোন বিশেষ ব্যবস্থা না থাকলেও চিকিৎসায় কোন ঘাটতি হচ্ছে না বলে জানান রমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। এম আব্দুৃও রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দিন দিন বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা শনাক্ত মোট ১৬৫ জন। সুস্থ হয়েছেন ১৪২ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২০ জন । গত ২৪ ঘন্টায় (সোমবার) আরও ১০ রোগী ভর্তিসহ এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে ২০ জন। এছাড়াও কুড়িগ্রাম,লালমনিরহাট,পঞ্চগড়, ঠাকুরগাও,গাইবান্ধা,নীলফামারীসহ আট জেলায় নতুন করে ভর্তি ৭৮ জনসহ ৯৪৬ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। তবে সব রোগীর রোগীই ঈদের ছুটিতে ঢাকা থেকে আসা । ডেঙ্গু চিকিৎসায় সকল হাসপাতাল গুলোতে হঠাৎ রোগীর চাপ বাড়ছে ফলে কিছুটা তৎপর হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে হাসপাতাল গুলোতে সব ধরনের রোগীর চাপ বাড়ছে সেই সাথে ডেঙ্গু আক্রান্ত এসব রোগীদের চিকিৎসা হচ্ছে। সাধারণ রোগীদের ইউনিটের পাশেই ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের জন্য আলাদা কোন ওয়ার্ডের ব্যবস্থা না থাকায় আতঙ্ক কাটছেনা চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনদের । তবে রোগীর চিকিৎসায় কাঙিক্ষত সেবা পাচ্ছেনা এমন অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও আলাদা চিকিৎসার ব্যবস্থায় কথা বলছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। গত ২৫ দিনে হাসপাতালে ভর্তি ১৩০৮ জনের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১১০৯ চিকিৎসাধীন আছেন ১১২ জন। হাসপাতালে রোগীর স্বজনের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, সামান্য একটা মশারি দিয়ে রোগীদের রাখা হয়েছে। খুব বেশি নিরাপদ চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই। ডেঙ্গু জ্বর যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, সে বিষয়ে তৎপরতা নেই বললেই চলে। কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট ও নীলফামারীসহ রংপুর নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা চিকিৎসারত ডেঙ্গু রোগীদের অভিযোগ- এখানে চিকিৎসা মিললেও কাঙিক্ষত সেবা পাচ্ছেন না তারা। এই রোগীর প্রায় সবাই ঢাকা থেকে ঈদ করতে আসা মানুষ। এসব রোগীদের যথাসাধ্য চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হচ্ছে।
সোমবার সকালে রংপুর রংপুরবিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক, ডা. এবিএম আবু হানিফের সাথে কথা হলে তিনি জানান, মশার উপদ্রব কমাতে বাড়ির আশপাশ এলাকায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা রাখতে হবে। মশক নিধন স্প্রে ছিটানোর প্রয়োজন। তবে ঢাকার মতো রংপুর বিভাগে ডেঙ্গুর প্রার্দুভাব দেখা দিয়েছে, এ সব ঢাকা থেকে আসা রোগী।